বিপ্লব পাল:পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে মিলিটারিরা সব থেকে বেশি রিয়াল এস্টেটের মালিক। মল থেকে চিনির ফ্যাক্টরি, স্টিল থেকে বেকারীÑসব ব্যবসাতেই মিলিটারি বা তাদের রিটারমেন্ট ফাউন্ডেশন। পাকিস্তানের রিটায়ারড জেনারেল এবং মিলিটারি অফিসারদের সমস্ত সম্পত্তির পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বেসিক্যালি দেশটার সব কিছু চালায় মিলিটারি। পার্টিশনের পর, পাকিস্তানে গণতন্ত্র ছিল অর্ধেক সময়ের কম। এর মধ্যেই পাকিস্তানের মসনদে বসেছে প্রায় ২৯ জন প্রধানমন্ত্রী [ভারতে ১৪-এর মধ্যে ১৯৮৯-৯১ সালের মধ্যেই ৪ জন এসেছেন, ওই টালমাটাল সময় বাদ দিলে আসলে ১০]। কেউ তার কার্যকাল সম্পূর্ণ করতে পারেনি। অথবা মিলিটারিদের বিরুদ্ধে যাওয়ায়, তারা কলকাঠি নেড়ে হয় মেরে দিয়েছে, নইলে সরিয়ে দিয়েছে। এটা সত্যই অদ্ভূত। পৃথিবীর যেসব দেশে ডিক্টেটর আছে তারা মিলিটারি নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করে। 

এমন কোনো দেশ নেই যে দেশে মিলিটারিরা হচ্ছে প্রধান ব্যবসায়ী। প্রধান শিল্পপতি। এর একটা সুবিধা ভারত পাচ্ছে। ইমরান খান নিয়াজি বড্ড চীন ঘেষা ছিলেন। চীন তার পণ্য নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে যাওয়াতে বা ঢুকতে দেওয়াতে পাকিস্তানে অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এতে মিলিটারি খুশি ছিলো না। কারণ তারা আসলে ব্যবসায়ী। ধান্দা বন্ধ হলে কার বা ভাল লাগে? আরেকটা সুবিধা ভারত অচিরেই দেখতে পারবে। মিলিটারির নিজেদের ব্যবসা এখন বন্ধ হওয়ার যোগাড় ভারতের সাহায্য ছাড়া পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। খুব সম্ভবত ব্যবসার স্বার্থেই পাক আর্মি, কাশ্মীর ভুলে ভারতের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করবে। ক্যাপিটাল অর্থাৎ পুঁজিই এ যুগের মহাদেবতা। 

আপনি যতোই জাতীয়তাবাদ, কমিউনিজম, হিন্দুত্ববাদ, ইসলামিজম, ইসলামিক ভাতৃত্ব, সমাজবাদ ইত্যাদি হুজুগ তুলুন না কেন আসল মহাপ্রভু হচ্ছে পুঁজি। পুঁজির নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে রাজনীতির নিয়ন্ত্রকও তারা। ভারতে পুঁজি গুজরাটি বেনিয়া ফ্যামিলিদের হাতে। ফলে রাজনীতি থেকে ক্রিকেটÑতারাই চালকের আসনে। বাঙালি শুধু ফেসবুকে ফুল হাতে বিদ্রোহ করছে! ফেসবুক থেকে